যাঁরা থাইল্যান্ড ভ্রমণ (Trip to Thailand) করতে চাইছেন উৎসবের মরশুমে, তাঁদের জন্য সুখবর। থাইল্যান্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় ভ্রমণার্থীরা এবার থেকে স্টিকার ভিসা, ই-ভিসা বিকল্প এবং ভিসা-অন-অ্যারাইভ্যাল বেছে নিতে পারবেন। আসলে অনেকটাই সস্তা পড়বে স্টিকার ভিসা আবেদন ই-ভিসা এবং ভিসা-অন-অ্যারাইভ্যালের তুলনায়।
বিশদে আলোচনা করে নেওয়া যাক এই প্রসঙ্গে। যাঁরা বর্তমানে স্টিকার ভিসার জন্য আবেদন করছেন, ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবালের কাছে আবেদন জানাতে হবে তাঁদের। আর গত ১ অক্টোবর এটা কার্যকর হয়েছে। ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবাল ওই সময় থেকেই ভারতে থাইল্যান্ড যাত্রার জন্য ভিসার আবেদন নিয়ন্ত্রণ করছে।
কেবলমাত্র স্টিকার ভিসার জন্যই এই সংস্থা আবেদন গ্রহণ করছে। আবেদনকারীদের কিছু জরুরি ফর্ম পূরণ করতে হবে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। আর ওয়েবসাইটেই এই ফর্ম পাওয়া যাবে। আসলে অনলাইন ফর্ম পূরণ করাই কিন্তু এর প্রথম ধাপ। যদিও আবেদনকারীকে উপস্থিত না থাকবেও চলবে, তাঁর হয়ে অন্য কেউ উপস্থিত থাকলেও হবে।
কন্যা সন্তান থাকলেই কেন্দ্র সরকার এর প্রকল্পে পাবেন ১০০০ টাকা করে! জেনে নিন বিস্তারিত
তবে স্টিকার ভিসার তুলনায় বেশি দামি থাইল্যান্ডের ভিসা-অন-অ্যারাইভ্যাল এবং ই-ভিসা। একটি মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার জন্য ১২০০০ টাকা এবং সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসার ফি ২৫০০ টাকা ফি হিসেবে দিতে হবে। আবার ভিসা-অন-অ্যারাইভ্যালের মূল্য ৪৫০০ টাকা এবং সিঙ্গেল এন্ট্রির জন্য ই-ভিসার মূল্য প্রায় ৬৮২০ টাকা। সমস্ত দিক দেখলে বোঝা যাবে যে, ভ্রমণার্থীদের জন্য সবথেকে উপযোগী ভিসা হল স্টিকার ভিসা।
যাঁরা স্টিকার ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ড ভ্রমণে যাবেন, তাঁরা সেই দেশে প্রবেশের দিন থেকে তিন মাস পর্যন্ত থাকার অনুমতি পাবেন। সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার জন্য প্রযোজ্য এই সময়কাল। ন্যূনতম ভিসা প্রসেসিংয়ের সময় চার দিন। নথিপত্র যাচাই এবং আবেদন রিভিউয়ের মতো জরুরি বিষয়গুলি করিয়ে নিতে হবে এই সময়ের মধ্যে।যাতে কোনও সমস্যা না থাকে পরে।
কী কী নথির প্রয়োজন হবে অনলাইন আবেদনের জন্য?
- কনফার্মড হোটেল রিজার্ভেশনঃ
হোটেল ভাড়া নেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে যে দেশে বেড়াতে যাচ্ছেন, সেই দেশে থাকার জন্য। আর তার প্রামাণ্য নথিও পেশ করতে হবে। - ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট:
পেশ করা আবশ্যক বিগত ৬ মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও। আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অন্তত ৫০ হাজার টাকা কিংবা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যালেন্স আছে কি না, এর হিসেব পাওয়া যাবে তাঁর ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট থেকে। - ছবি:
২টি সাম্প্রতি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, যা নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করতে সক্ষম। - কনফার্মড টিকিট:
আসলে আবেদনকারীর ভ্রমণ পরিকল্পনার বিবরণ দেয় একটি কনফার্মড টিকিট। এর মধ্যে অন্যতম হল তিনি কোন দেশ থেকে আসছেন কিংবা কোন দেশে যাচ্ছেন, এই সমস্ত তথ্য থাকে এতে।
Jio -র তরফে নতুন ৭ টি রিচার্জ প্ল্যান! থাকছে একাধিক ফ্রি সুযোগ সুবিধা! জেনে নিন বিস্তারিত
ভ্রমণের বিকল্প দলগত ভাবে:
একটা দল হিসেবে অথবা একা ভ্রমণকারী কোনও প্রতিষ্ঠান ভ্রমণে বেরোলে, কনস্যুলেট কিংবা গন্তব্য দেশের দূতাবাস থেকে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। আর এই বিষয়টা ভিসার আবেদন করার আগেই করে ফেলতে হবে। দূতাবাসের কনফার্মেশন এটাই নিশ্চিত করবে যে, সংশ্লিষ্ট দলটির ভ্রমণ পরিকল্পনা বৈধ, সুশৃঙ্খল এবং ওই পরিকল্পনা গন্তব্য দেশের নিয়মনীতি মেনেই তৈরি। ভ্রমণের জন্য দলের উদ্দেশ্য, দূতাবাস ভ্রমণের যাত্রাপথ এবং অন্যান্য জরুরি তথ্য খতিয়ে দেখবে। এর ফলে, দলের সমস্ত সদস্যদের ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া মসৃণ এবং কার্যকর হয়ে উঠবে।
স্টুডেন্ট ভিসার বিস্তারিত! এর জন্য লাগে কত সময়?
কম করে ৩-৪ দিন সময় লেগে যায় স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য। দূতাবাস জরুরি নথি পর্যালোচনা করে দেখে এই সময়ের মধ্যে। আর জরুরি নথির মধ্যে অন্যতম হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রাপ্ত অ্যাকসেপটেন্স লেটার এবং আর্থিক প্রমাণ ইত্যাদি। এই সতর্কতামূলক মূল্যায়ন নিশ্চিত করে যে, আবেদনকারীরা ভিসার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করছে। সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি নিখুঁত ভাবে জমা করা আবশ্যক। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে দূতাবাসের নির্দেশিকা।আর বিদেশে পড়তে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ভিসার আবেদন আরও মসৃণ হয়ে যাবে।
সামনেই পুজো! চাই পছন্দসই সেলফি! মিলবে 5G সহ 20,000 এর মধ্যে বেস্ট স্মার্টফোন!
সরাসরি ভাবে আবেদন করা যাবে? না কি কোনও অনুমোদিত এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে?
সরাসরি ভাবে স্টিকার ভিসা পাওয়া যায় ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবাল ভিসা সেন্টারের মাধ্যমে। আবেদনকারীরা এর ফলে ওয়াক-ইন এবং ভিসা প্রসেস করার অনুমতি পান। কোনও মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন হয় না এই বিকল্পের কারণে। অর্থাৎ আবেদনকারীরা ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবালের মাধ্যমে সরাসরি ভাবে ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
অফলাইন আবেদন করা যাবে কোন কোন শহরে?
অফিসিয়াল ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে যেতে হবে অফলাইনে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে। নিম্নে দেওয়া হলো ঠিকানার বিস্তারিত:
শিলিগুড়ি: | দ্বিতীয় তল, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট শপ নম্বর ৩০-৩১ সেবক রোড, শিলিগুড়ি, পশ্চিমবঙ্গ ৭৩৪০০১ |
চেন্নাই: | টি-১১/১২, আলসা মল, তৃতীয় তল, মন্টিয়েথ রোড, এরমোর, চেন্নাই – ৬০০০০৮ |
দিল্লি: | দ্বিতীয় তল, বি-৮৬, ডিফেন্স কলোনি, নয়াদিল্লি – ১১০০২৪ |
বেঙ্গালুরু: | এস-৫১৯, পঞ্চম তল, সাউথ ব্লক, মণিপাল সেন্টার, ৪৭, ডিকেনসন রোড, বেঙ্গালুরু – ৫৬০০৪২ |
কলকাতা: | অ্যাক্রোপলিস, ইউনিট ৬/১, ষষ্ঠ তল, ১৮৫৮ রাজডাঙা মেন রোড, কলকাতা – ৭০০১০৭ |
মুম্বই: | ২০৬এ, দ্বিতীয় তল, দ্য আর্কেডিয়া বিল্ডিং, বিনায়ক কুমার শাহ মার্গ, এনসিপিএ, নরিম্যান পয়েন্ট, মুম্বই – ৪০০০২১ |