Investment News – তীব্র গরমে AC কোম্পানির স্টক হু হু করে বাড়ছে! বিনিয়োগকারীদের দিচ্ছে রেকর্ড ভাঙ্গা লাভ

গরম পড়তেই ঊর্ধ্বমুখী AC কোম্পানির স্টক! ব্যাপক লাভ পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। মার্চের শেষ থেকেই গরম তার তেজ দেখাচ্ছে। এপ্রিল পড়তেই তাপমাত্রায় অতিষ্ট হয়ে উঠছে মানুষ। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, চলতি বছর রেকর্ড গরম পড়বে। গরমের খেল দেখা যাচ্ছে এখন থেকেই। স্কুলে স্কুলে ছুটি পড়ার আভাস মিলছে। অত্যাধিক গরমে হাঁসফাঁস দশা সবার। বিগত কয়েক বছর ধরেই গরম ক্রমশ বাড়ছে। আগের বছর রেকর্ড তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল বাংলার গরম। চলতি বছর তার ব্যতিক্রম হয়নি। এপ্রিলে রোদের তেজ জানান দিচ্ছে তাপমাত্রার পারদ এ বছরও রেকর্ড পার করবে।

পরিবেশে যত বেশি গরম পড়ছে তত মানুষের কিছু জিনিসের চাহিদা বাড়ছে। যেমন গ্রীষ্মকাল পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চাহিদা বাড়ছে কুলার, পাখা, স্ট্যান্ড ফ্যান, এসির। যে হারে গরম বাড়ছে তাতে এসি ছাড়া টিকতে পারছে না মানুষ। ঘরে ঘরে বসছে এয়ার কন্ডিশনার। এসির হাওয়াতে কিছুটা হলেও স্বস্তি। দিনে ঘরে টেকা হোক অথবা রাতের ঘুম এসিতে ভরসা বাড়ছে মধ্যবিত্তের। একটা সময় ছিল যখন কিনা কুলার অথবা স্ট্যান্ড ফ্যানেই গরম কেটে যেত মানুষের। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে এয়ার কন্ডিশনার। এসি কেনার চাহিদা যত বাড়ছে, ততই উর্ধ্বমুখী হচ্ছে এসি কোম্পানির শেয়ার। সাধারণত মধ্যবিত্ত মানুষজন তুলনায় কম টাকায় ভালো মানের এসি চায়। এসি কোম্পানিগুলির মধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি গ্রাহকদের কম দামে ভালো মানের এসি সরবরাহ করে। উদাহরণ দেওয়া যায়, Voltas কোম্পানির। এই কোম্পানিটি গ্রাহক দের তুলনায় কম দামে ভালো মানের এসি সরবরাহ করে। গরম পড়ার কারণে যত বেশি এসি কেনার চাহিদা বাড়ছে, তত বেশি প্রভাব পড়ছে কোম্পানিটির স্টক হোল্ডারদের উপর। ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রভাব রীতিমতো টের পাচ্ছেন তারা।

বর্তমানে ভোল্টাস কোম্পানিটি অন্যতম নামকরা এসি কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে এই কোম্পানির এসির কদর মধ্যবিত্তের মধ্যে রয়েছে। স্টক মার্কেটে ওই প্রভাব দেখা যাচ্ছে বিস্তর। এক সমীক্ষা বলছে, সোমবার বাজার খুলতেই এক ঝটকায় ভোল্টাস এসি কোম্পানির শেয়ার বেড়ে গিয়েছে ১০ শতাংশ হারে। শুধু তাই নয় আপার সার্কের হিট করেছে এই এসি কোম্পানির শেয়ার। নিঃসন্দেহে এটা ভালো খবর সমস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য। এসির চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি যারা বিনিয়োগ করছেন, মুখে হাসিও ফুটেছে তাদের। এক মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বিগত ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ রেকর্ডে পৌঁছেছে এই কোম্পানির শেয়ার। ১১ এপ্রিলের হিসেব বলছে, বৃহস্পতিবার এই কোম্পানির শেয়ার ১৩৪০.৮০ টাকা। পরপর দাম বাড়ছে এসি কোম্পানির শেয়ারের। গত পাঁচ দিনের এই শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ১২২ টাকা। বলাই বাহুল্য, হিসেব বলছে প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কোম্পানির শেয়ার। দৈনিক হিসাব ছাড়াও মাসিক হিসেব বলছে, কত এক মাসে ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে শেয়ার। আর ছয় মাসের হিসাব বলছে, এসি কোম্পানির শেয়ার বেড়েছে প্রায় ৫৪ শতাংশ।

আর এক বছরে ৩৭ শতাংশরেও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এই কোম্পানির শেয়ার।নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো খবর। মোটামুটি একটা রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ভল্টাস এসি কোম্পানি মধ্যবিত্তদের মধ্যে স্বল্পমূল্যে ভালো মানের এসি বিক্রি করেছে। আপাতত সংস্থা টার্গেট নিয়েছে, ২০২৪ সালে ২ মিলিয়নের অধিক অর্থাৎ প্রায় কুড়ি লক্ষের বেশি এসি বিক্রি করা। অতীতের সমীক্ষা বলছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কোম্পানিটি‌ ২০ লক্ষের অধিক এসি বিক্রি করে ফেলেছে। তাই ধরে নেওয়াই যায় এই অর্থ বছরেরও টার্গেট পূরণ করবে এসি কোম্পানিটি। মোটামুটি দেখে নেওয়া যায় যে, ২০১৩-২৪ অর্থ বর্ষের শেষ কোয়ার্টারে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস নাগাদ কোম্পানির এসি বিক্রির পরিসংখ্যান প্রায় ৭২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অন্যান্য এসি কোম্পানির সঙ্গে তুলনায় কার্যত এগিয়ে রয়েছে ভোল্টাস। মধ্যবিত্ত জনসাধারণের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে এসি বিক্রি করেছে এই কোম্পানিটি। সব মিলিয়ে বলা যায়, এই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ কারীদের লাভ হচ্ছে। উর্ধ্বমুখী শেয়ারের কারণে বিনিয়োগে উৎসাহ পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

Leave a Comment