ভারতীয় বাজারে হিরো গ্ল্যামার এবং বাজাজ পালসার দুই মোটরবাইকই হট সেলিং টু হুইলার। ভেবে উঠতে পারছেন না শোরুমে যাওয়ার আগে কোনটা কেনা উচিত? মূলত, কোনটা সঠিক দুই বাইকের তা বলা আসলেই কঠিন। বিশেষত, মানুষের চাহিদা আলাদা আলাদা হতে পারে নিত্য প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে। কিন্তু দুই বাইকের তুলনা এই কাজ কিছুটা হলেও সহজ করতে পারে।
মূল তুলনায় যাওয়ার আগে বলে রাখা ভালো যে, বাইকগুলির ডিজাইন ও গ্রাফিক্সও ভালো মাইলেজের পাশাপাশি বেশ আকর্ষণীয়। যার দরুন বাইকের চেহারা একবার দেখলেই মনে লেগে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক জীবনের বাকিটা সময় কোন মোটরসাইকেলকে পথের সঙ্গী করে তোলা উচিত।
মাসে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন SIP-তে? দেখে নিন কত রিটার্ন পাবেন মেয়াদ শেষে
মাইলেজ ও ইঞ্জিন:
149.5 সিসি ইঞ্জিন রয়েছে বাজাজ পালসারে যা সর্বোচ্চ 13.25 এনএম টর্ক এবং 13.8 হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করতে পারে। সঙ্গে 5 স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স। 47 কিমি প্রতি লিটার এই মোটরসাইকেলের মাইলেজ। অপরদিকে 124.7 সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন রয়েছে হিরো গ্ল্যামারে যা সর্বোচ্চ 10.6 এনএম টর্ক এবং 10.7 হর্সপাওয়ার তৈরি করতে পারে। সঙ্গে 5 স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স। 55 কিমি প্রতি লিটার বাইকের মাইলেজ।
দাম ও খরচ:
বিভিন্ন সিসির বাজাজ পালসারের বাইক বিক্রি হয়। তবে এবার তুলনা করা যাক, 150 সিসির পালসারের সঙ্গে গ্ল্যামারের। বাজারে পালসার 150 এর দাম এই মুহূর্তে সিঙ্গেল ডিস্ক ভেরিয়েন্ট 1.13 লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)।অপরদিকে 81,000 টাকা হিরো গ্ল্যামার 125 এর দাম।
যদি 1.25 লাখ টাকা কারও বাজেট হয় তাহলে 12 হাজার টাকা বাঁচবে পালসারের ক্ষেত্রে এবং প্রায় 44 হাজার টাকা হিরো গ্ল্যামারের ক্ষেত্রে। 1 বছরে দুই বাইকের তেল খরচ ও মেইনটেনেন্স খরচ ধরলে বাজেট প্রায় ছাড়িয়ে যাবে বাজাজ পালসারের ক্ষেত্রে। কিন্তু কয়েক হাজার টাকা বাঁচাতে পারবেন গ্ল্যামারের ক্ষেত্রে।
মাইলেজ ও দামের কথা বললে হিরো গ্ল্যামার 125 বাজাজ পালসারের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। তবে সিঙ্গেল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম এই বাইকে নেই, যা রয়েছে পালসারে। যদিও ডিস্ক ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক পাবেন গ্ল্যামারে। তবে,ফিচার্সের ক্ষেত্রে প্রায় সমান বৈশিষ্ট্যই রয়েছে দুই বাইকের ক্ষেত্রে।